আজকে আমি একটা অন্য রকম যন্ত্র সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।
যন্ত্রটির নাম এস্রাজ। এই যন্ত্রটি আমাদের দেশে খুব একটা বাজানো হতো না। বর্তমানে ২/১জন যন্ত্রশিল্পী এটি
বাজান।তার মধ্যে অসিত বিশ্বাস অন্যতম।
এস্রাজ মূলত হচ্ছে একটি তার যন্ত্র। মূলত এই যন্ত্রটি আমাদের বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত হয়।
এসরাজের ব্যবহার দেখা যায় মূলত পূর্ব মধ্য ভারত মধ্য ভারত এবং বাংলাদেশে। ভারতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সাথেই
ব্ব্যবহৃত হতে দেখা গিয়েছে যা কিনা সঙ্গীত রবীন্দ্র কে এই যন্ত্রের সঙ্গত অন্যরকম শ্রুতিমধুরতা ও মাধুর্য সৃষ্টি করে।
আনুমানিক দুই থেকে তিন শত বছর আগে থেকে সারেঙ্গী এর বিকল্প হিসেবেএই ইন্সট্রুমেন্টই আবিষ্কার হয় বলে মনে করা হয়।
এসরাজের একটা বিশেষ দিক এইটি তারের উপর টেনে বাজাতে হয়। এই কারণে এসরাজ কে সেতার ও সারির সমন্বিত রূপ বলে মনে করা হয়। এসরাজের কাঠামো গঠন শৈলী মাঝারি আকৃতির সে তারের মতো ডান্ডি রুপোর বৃষ্টি ধাতব ঘাট বেঁধে দেওয়া হয়। এগুলোর উপরে 12 থেকে 15 টি সুরের বা তরঙ্গের তার বাধা হয়। এগুলো বেহালার ছড়ের সাহায্যে বাজানো হয়। নিচের অংশ সেতারের লাওয়ের তুম্বার পরিবর্তে কাঠের ছোট আকৃতির খোলের উপর ছাগলের চামড়ার ছাউনি দিয়ে টানটান করে বাধা হয়।। এই যন্ত্রটি এই যারা বাজান তারা জোড় আসনে বসে বাজিয়ে থাকেন । এই যন্ত্রের উপরের অংশ বাম কাধেঁ রেখে ভূমিতে নিচের অংশটি তে ছড় দিয়ে বাজাতে হয়।
শান্তিনিকেতনে এস্রাজের প্রচলন অনেক আগে থেকেই। রবীন্দ্রসঙ্গীত যারা গান তাদের জন্য খুব গুরুত্পূর্ণ যন্ত্র এটি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমন্ত্রণে বিষ্ণুপুরের অশেষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে এস্রাজের শিক্ষকতা করেছিলেন। তার শিষ্য রণধীর রায় এস্রাজবাদক হিসাবে বিশেষ সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।বর্তমানে রাগ সঙ্গীত, ধর্মীয় সঙ্গীত এমনকি আধুনিক অনেক গানের সাথে
এর ব্যবহার করা হয়।